Skip to main content

ফটোশপ শিখুন [পর্ব ৪]: Blending mode সম্পর্কে জানুন

ফটোশপ দিয়ে আমরা অনেকেই নিয়মিত কাজ করছি। তাই Blending mode ও কম বেশি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু Blending mode এর ব্যাখ্যা জানা আছি কি? নাকি পরিবর্তন করে যেটা ভাল লাগে সেটা দিয়ে দেন! যাইহোক আজকে আমি যতটুকু জানি তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

Blend mode কিভাবে কাজ করে? অথবা এর মূল কাজটা কি?

Blending mode গুলোর মূল কাজ হলো মিশিয়ে দেয়া বা Blend করা। আর এই মিশ্রনের প্রক্রিয়াটা একেক mode এ একেক রকম। যেমনঃ আপনি যখন বৃষ্টিতে ভিজেন তখন আপনার গেঞ্জি গায়ের সাথে লেপ্টে গিয়ে শরীর দেখা যায়, এটাও এক প্রকার Blend. আর একটি উদাহরণ দেয়া যাক, বিয়ের সময় পাত্রী ছবি তুলা হয় ওড়নার ভেতরে মুখ থাকে মানে ওড়নার ভেতর দিয়ে মুখ দেখা যায়। এটাও এক প্রকার blend.
Photoshop cs6 এ blend mode আছি ২৭ টি। এই ২৭টি মুড বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। একেকটি ভাগের কাজ একেক রকম। ভাগগুলো ইমেজ আকারে নিচে দেয়া হলোঃ
Groups of blend mode















Blend mode এর keyboard shortcut নিচে দেয়া হলোঃ
Short key of blending mode















এই short key   ব্যবহার করার জন্য আপনার move টুল select থাকতে হবে।
Multiply, screen, overlay, soft light এই ৪টি blend mode সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়।
Multiply এর কাজ হলো সাদা অংশ বাদ দেয়া। যেমনঃ নিচে দেয়া হলোঃ
Multiple blend mode

এখন এই মেয়ের layer এর মুড multiply করে দেখুন সাদা অংশ চলে যাবে।
Multiple blend mode
 Multiply blend mode সাদা রং কে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করে দেয়। কালো কালোই থাকে। আর colorful image কে darker করে।
Multiple blend option










উপরের tattoo টি আমি multiply blend mode ব্যবহার করে বসিয়ে দিলাম। blending টি কেমন হলো জানাবেন।
Dissolve মুড transparent করে এবং opacity কমালে pixel গুলোকে ভেঙে দেয়। যেমনঃ
Dissolve blending mode










Soft light mode contrast বৃদ্ধি করে নিচের লেয়ারের সাথে মিশিয়ে দেয়। এবং saturation ও সামান্য বৃদ্ধি করে নিচের লেয়ারের সাথে ব্লেন্ড করে। যেমনঃ
Soft light mode example









বামের ছবিটি duplicate layer করুন। অতপর উপরের লেয়ারের মুড soft light করে দিন। দেখবেন ডানের ছবির মত হয়ে গেছে। দুটি ছবিতে কি পার্থক্য আছে?
Soft light mode দ্বারা কোন ইমেজের আলো বাড়ান বা কমান যায়। একটি ছবি নিন। নতুন লেয়ার নিন। এরপর সাদা রং fill করুন। সাদা রং এর লেয়ার মুড soft light করে দিন। দেখুন একটু আলোকিতভাব চলে এসেছে। একই ভাবে কালো রং নিয়ে ছবিকে অন্ধকার করা যায়।
Soft light mode দিয়ে washed out image কে ঠিক করা যায়। এখন কথা হল washed out image কাকে বলে বা কি? ছবি তোলার সময় সূর্যের আলোর কারণে ছবির রং গুলো নষ্ট হয়ে যায় অথবা কেমন যেন সাদাভাব চলে আসে। একে washed out image বলে। তো কিভাবে soft light মুড ব্যবহার করে washed out ঠিক করবেন। ছবিটি ফটোশপে খুলুন। duplicate layer করে উপরের লেয়ার soft light করে দিন। দেখুন রং গুলো জীবন্ত হয়ে গেছে।

Comments

Popular posts from this blog

নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর কিভাবে কাজ করে?

২০১৩তে জাপানে চার চারটি নিউক্লিয়ার রিয়াক্টরের বিস্ফোরণ ঘটে,যা পুরো বিশ্ববাসীকে হুমকির সামনে ফেলে দিয়েছিল। সবারই নজর তখন জাপানের পারমাণবিক বিস্ফোরণের দিকে ছিল। তো আসুন কিভাবে নিউক্লিয়ার রিয়াক্টর কাজ করে দেখার চেষ্টা করি বুজার চেষ্টা করি সহজ ভাবে। নিউক্লিয়ার প্লান্ট ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি করে কিভাবে ? নিউক্লিয়ার প্লান্টে ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি করতে কয়লা, তেল অথবা গ্যাসের ন্যায় কিছুর প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র উত্তপ্ত পানির বাষ্পের দরকার হয়। এই বাষ্প টারবাইনকে ঘোরায় এবং ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি হয়। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট :  দুই প্রকার নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট রয়েছেঃ ১। Boiling water reactors ২। Pressurized water reactors ১। Boiling water reactors:  এখানে রিয়াক্টরের চারপাশে পানি প্রবাহ করে জ্বালানি রড ঠান্ডা ও বাষ্প তৈরি করা হয়। বাষ্প রিয়াক্টর ভেসেলের মাধমে সরাসরি টারবাইনে এবং টারবাইন থেকে জেনারেটরের সাহায্যে ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি করা হয়। ২। Pressurized water reactors: এখানে রিয়াক্টরকে ঠান্ডা রাখার জন্য প্রবাহিত পানি যেনো বাষ্পে পরিণত হতে না পারে তাই চাপ সৃষ্টি করা হয়। পানির তাপ অন্

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এসে কেন আমাকে পদার্থ, রসায়ন পড়তে হবে?

ভূমিকা বিশ্বের যে কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান তারা ইঞ্জিনিয়ারিং এর সিলেবাসে পদার্থ, রসায়ন, গণিত সহ কমার্সের বিভিন্ন বিষয় দেখে প্রথমেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন । সবার মনে একটাই প্রশ্ন । আমি কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট, আমি প্রোগ্রামিং শিখব, এলগরিদম শিখব, কিন্তু পদার্থ-রসায়নের দরকার কি? আর যাদের জীবনের উদ্দেশ্যই ইঞ্জিনিয়ারিং তারাও ভাববে, “যেই পদার্থ-রসায়ন আমার বাল্যকাল নষ্ট করে দিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং শিখতে এসেও কি তার হাত থেকে রক্ষা নেই?” হলফ করে বলতে পারি, প্রায় নব্বই ভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং শিখতে গিয়ে এসব প্রযুক্তি বহির্ভূত বইকে অপছন্দ করে । এছাড়াও হাইস্কুলে পড়ার সময় গণিত করার সময় প্রায়ই সহপাঠীদের বলতে শুনেছি, এসব বীজগণিত, জ্যামিতি দিয়ে আসলেই কি বাস্তব জীবনে কোনো কাজ হবে? আমরা এগুলো শিখছি কেন? এবিষয়েও কিছু উদাহরণ দেয়ার চেষ্টা করব আজকের লেখায় । আমার আজকের আলোচনার বিষয়, ইঞ্জিনিয়ারিং শিখতে গিয়ে কি এসব গণিত-পদার্থ-রসায়নের আসলেই দরকার আছে? এই প্রশ্নের উত্তর ছোট্ট একটা উদাহরণ দিয়ে দিব । তার সাথে আজকের পোস্টে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে তার এক