Skip to main content

LCD এবং LED এর মনিটরের মধ্যে পার্থক্য

LCD এর পুরো নাম Liquid Crystal Display আর LED এর পুরো নাম হলো Light Emitting Diode। LCD ডিসপ্লেতে প্রতিটি পিক্সেল তিনটি সাবপিক্সেলে বিভক্ত যাদের একটি লাল, একটি সবুজ এবং অবশিষ্টটি নীল রং বিশিষ্ট। এদের একটি অপরটির সাথে বিভিন্ন ফিল্টার দ্বারা যুক্ত থাকে। যেমন পিগমেন্ট ফিল্টার, ডাই ফিল্টার এবং মেটাল অক্সাইড ফিল্টার। প্রতিটি সাবপিক্সেলের বর্ণ বিভিন্ন মাত্রায় পরিবর্তন করে পিক্সেলকে লাকখানেক রং প্রদান করা যায়। এভাবে প্রতি মিলিসেকেন্ডে বারবার রং পরিবর্তনের মাধ্যমে রাঙিয়ে তুলছে LCD ডিসপ্লে।
LED মুলত একটি ছোট আকারের আলোক নিংসরণকারী যন্ত্র। এলইডি ডিসপ্লের ইতিহাস আলোচনা করতে গেলে এই বস্তুটির ইতিহাস জানা আবশ্যক। এটি যুগের বিবর্তনে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে এবং হাজার হাজার এলইডি একত্রিত হয়ে তৈরী করেছে আজকের এলইডি ডিসপ্লে।
এলসিডি ও এলইডি ডিসপ্লে নিয়ে অনেকের মাঝে নানা ধরনের বিভ্রান্তি আছে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে ব্যপারটা এই রকম যে, এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) কে এলসিডি ডিসপ্লের ব্যাকলাইটিং এর জন্য যখন ব্যবহার করি তখনই আমরা তাকে বলি এলইডি ডিসপ্লে। মনিটরের ব্যাকলাইটের ক্ষেত্রে এলইডি আগের যে প্রযুক্তিটির বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি হল ফ্লুরোসেন্ট টিউব যা কিনা আমাদের বাসা বাড়িতে ব্যবহৃত টিউব লাইটের সমগোত্রীয়। যেকোন এলসিডি মনিটরই ব্যাকলাইটিং এর জন্য এলইডি বা ফ্লুরোসেন্ট টিউব ব্যবহার করতে পারে। তার মানে এই নয় যে, কোন মনিটর ব্যাকলাইটিং এর জন্য এলইডি ব্যবহার করার মানেই এটি আর এলসিডি মনিটর থাকল না। এটিকে তখনও এলসিডি মনিটর বলতে হবে কারন নন এলইডি ব্যাকলাইট সমৃদ্ধ এলসিডি মনিটর যে প্রযুক্তি এলসিডি প্যানেল ব্যবহার করছে এটিও ঠিক তাই করছে। এখানে পার্থক্যটা হচ্ছে শুধু এলইডি ব্যাকলাইটিং এর বেলায়।
মনিটরের এলসিডি অংশটি হল এর লাল, নীল এবং সবুজ পিক্সেল যার ফলে আমরা মনিটরের পর্দায় ছিব দেখি। পেছন থেকে যদি আলোর প্রতিফলন না ঘটে তাহলে আমরা মনিটরের পর্দায় কিছুই দেখতে পারব না এবং এটাকেই বলছি ব্যাকলাইট। সুতরাং বোঝা গেল, এলসিডি মনিটরে পিক্সেলকে আলোকিত করার জন্য যে আলো ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি এলইডি ভিত্তিক হতে পারে অথবা হতে পারে ফ্লুরোসেন্ট টিউব ভিত্তিক।
এলইডি মানেই হল লাইট এমিটিং ডায়োড অর্থাৎ ডায়োড থেকে আলোর প্রতিফলন ঘটবে এলইডিতে। বিদ্যুৎতায়িত শক্তি এলইডি বাল্ব এর মধ্যে রাখা সেমিকন্ডাক্টর থেকে আলোর প্রতিফলন করতে সাহায্য করে। লাইটিং প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এলইডি মনিটরে আলো এড়িয়ে যেতে পারে না। যার ফলে এর ছিবর গুনাগুন মানসম্মত থাকে এবং ছবি থাকে পরিষ্কার। নীল বা সাদা আলো প্রতিফলনে ব্যবহৃত নাইট্রাইড এলইডি মডিউলে ব্যবহৃত সবচেয়ে বেশী প্রচলিত সেমিকন্ডাক্টর গুলোর মধ্যে একটি। এলইডি ডায়োডকে নির্দিষ্ট কোনো রং প্রতিফলন করার মত করে ডিজাইন করা যায়, আবার এমনভাবেও ডিজাইন করা যায় যাতে একটি ডায়োড থেকে ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের আলো প্রতিফলন করা যায়। মাল্টিকালার ভিত্তিক এলইডি ডায়োড ব্যবহার করে বড় বড় এলইডি পর্দায় ছবি প্রদর্শন করা যায়।
ফ্লুরোসেন্ট টিউবের তুলনায় এলইডি ৪০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ খরচ করে। অন্যদিকে এলসিডিতে ফ্লুরোসেন্ট টিউবের ব্যবহারের ফলে আলোর প্রতিফলনে বাধা পড়ে। ফলে একটু হলেও পর্দায় ছবির মান এলইডি থেকে কম আসে। ফ্লুরোসেন্ট টিউব ভিত্তিক ব্যাকলিট মনিটরে আরো কিছু সুবিধা আছে যেমন: এগুলো একটু বেশী উজ্জল হয়, বেশ সংখক রং সাপোর্ট করে এ বলা হয়। আবার এলইডি ব্যাকলাইট সমৃদ্ধ মনিটর বন্ধ অবস্থা থেকে মাত্র কয়েক মিলিসেকেন্ডেই সর্বোচ্চ উজ্জলতায় পৌছে যেতে পারে। এদিক থেকে এগুলো ফ্লুরোসেন্ট টিউবভিত্তিক মনিটরের চেয়ে এগিয়ে আছে কারন এসব মনিটরে উজ্জলতায় পৌছাতে কয়েক মিনিট ও লাগতে পারে।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর কিভাবে কাজ করে?

২০১৩তে জাপানে চার চারটি নিউক্লিয়ার রিয়াক্টরের বিস্ফোরণ ঘটে,যা পুরো বিশ্ববাসীকে হুমকির সামনে ফেলে দিয়েছিল। সবারই নজর তখন জাপানের পারমাণবিক বিস্ফোরণের দিকে ছিল। তো আসুন কিভাবে নিউক্লিয়ার রিয়াক্টর কাজ করে দেখার চেষ্টা করি বুজার চেষ্টা করি সহজ ভাবে। নিউক্লিয়ার প্লান্ট ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি করে কিভাবে ? নিউক্লিয়ার প্লান্টে ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি করতে কয়লা, তেল অথবা গ্যাসের ন্যায় কিছুর প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র উত্তপ্ত পানির বাষ্পের দরকার হয়। এই বাষ্প টারবাইনকে ঘোরায় এবং ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি হয়। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট :  দুই প্রকার নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট রয়েছেঃ ১। Boiling water reactors ২। Pressurized water reactors ১। Boiling water reactors:  এখানে রিয়াক্টরের চারপাশে পানি প্রবাহ করে জ্বালানি রড ঠান্ডা ও বাষ্প তৈরি করা হয়। বাষ্প রিয়াক্টর ভেসেলের মাধমে সরাসরি টারবাইনে এবং টারবাইন থেকে জেনারেটরের সাহায্যে ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি করা হয়। ২। Pressurized water reactors: এখানে রিয়াক্টরকে ঠান্ডা রাখার জন্য প্রবাহিত পানি যেনো বাষ্পে পরিণত হতে না পারে তাই চাপ সৃষ্টি করা হয়। পানি...

দেখুনতো ১=২ (এক সমান দুই) প্রমান করা যায় কিনা !!!!! [Proved that 1=2]

TO READ IT IN ENGLISH PLEASE CLICK HERE গণিতের একটি অবাস্তব প্রমাণ নিয়ে আজ হাজির হলাম! আজ  আপনাদের দেখাতে যাচ্ছি ১=২ !   ! গণিত দিয়ে আপনি খুব সহজেই এমন অনেক "অবাস্তব/ মিথ্যা" প্রমাণ করতে পারেন! গণিতের "অসংজ্ঞায়িত/ অনির্ণেয়" টার্মগুলো দিয়েই সাধারণত এই প্রমাণগুলো হয়ে থাকে! এমনকি এই "অসংজ্ঞায়িত/ অনির্ণেয়" টার্মগুলো দিয়ে "পৃথিবীর সকল সংখ্যা ১ এর সমান" প্রমাণ করা যায়!!! কি? মজার না??? "পৃথিবীর সকল সংখ্যা ১ এর সমান" প্রমাণটি অন্য একদিন দেখিয়ে দেব  এই প্রমাণগুলো যদিও  সত্য নয়, তবুও এই প্রমাণগুলো দেখলে/ জানলে, গণিত হয়ে উঠে "মজার গণিত"!!! তাই, আজকেও সেইরকম একটা অনির্ণেয় টার্ম দিয়ে ১=২ প্রমাণ করে দেখালাম!  আজকের প্রমাণের ভুলও আমি আপনাদের দেখিয়ে দেব! তবে আপনাদেরকেই আগে 1=2 প্রমাণের ভুলটি ধরতে হবে! তাই, নিচের প্রমাণের ভুল খোঁজার চেষ্টা করুন। ভুল না ধরতে পারলেও মন্তব্য করুন। কারন, অনেকে যদি ভুল না ধরতে পারে, সেক্ষেত্রে আমিই ভুলটি দেখিয়ে দেব   তাই, নিচের প্রমাণটি ভালোমতো লক্ষ্য করুন ... ... ...     1=2 (one is...