Skip to main content

ইংরাজি শিখুন [পর্ব ১] :- Voice Change (বাচ্য পরিবর্তন)

সকলকে স্বাগতম । ইংরাজি অনেক ছাত্রছাত্রীর কাছে একটি ভয়ের কারন । এই ভয় দূর করতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা 'ইংরাজি শিখুন '। আজকের বিষয় Voice Change (বাচ্য পরিবর্তন)
Voice Change অনেক ছাত্রছাত্রীর চিন্তার বা বলা ভালো দুঃশ্চিন্তার কারন । তাই এবার ধীরে ধীরে সহজ , সাবলীল অথচ নির্ভুল ইংরাজি ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার  লেখার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে ধীরে ধীরে আলোচনা করব –

ইংরেজি ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার!

ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (1)
প্রথমেই গরুগম্ভীর আলোচোনা না করে – সহজ ভাবে একটা সিম্পল উদাহরন দিয়ে ভাবনা শুরু করি –
A boy beats a drum .  এটা একটা সাধারন  সরল বাক্য ।
দেখুন নীচে হাবলু মতন ছেলেটার একটা ছবি দিয়ে দিলাম –

ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (9)
এবার যদি বলা হয় – এই বাক্যটার  VOICE CHANGE , বা   বাচ্য পরিবর্তন করতে হবে । আরে এট নিয়ে ভাবার কি আছে – সেই ছোট বেলা থেকে শিখে আসছি – বাচ্য পরিবর্তন করতে গেলে  কর্তা কে কর্ম আর কর্ম কে কর্তা চেঞ্জ করে দিলেই কাজ কাবার । ঠিক আছে সাব্জেক্ট বা কর্তা আর অব্জেক্ট বা কর্মের মধ্যে স্থান বিনিময় করে দিয়ে দেখি তো কি হয় ।
A drum beats a boy !   মানে ~ মানে আবার কি – দেখেই নাও মানে টা কি দাঁ ড়ায়
ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (10)
ছি ছি ছি ! একেবারে গ্রামার গুলি সব ভূল মেরে দিয়েছি । তাই আবার বই খুলে দেখলাম –
 একটি       ছেলে    একটি ড্রাম    বাজায় –           এটা কতৃ বাচ্য
একটি ড্রাম   বাজানো হয় একটি ছেলের দ্বারা —-       এটা কর্ম বাচ্য
অর্থাৎ     ভার্ব বা ক্রিয়ার পরিবর্তন যেটা  আসল সেটাই আমি ভূল মেরে বসে আছি ।  ছিল   beats  ,  হবে      is  beaten
দেখছো  না  voice  চেঞ্জ টা আমাকে  আর এক বার রিভিশন দিতেই হবে , আপনারাও আমার সঙ্গে দ্রুত আর এক বার রিভিশন দিয়ে নেন । কারন ? কারন = ইংরাজিতে দুই কলম লেখতে গেলে  TENSE  আর  VOICE  ছাড়া এক পাও চলতে পারবেন না
Voice Change 
ভয়েস চেঞ্জ বাচ্য পরিবর্তন আমরা কম বেশী সবাই পড়েছি । কারো কাছে এটি জলের মত সহজ বা কারো কাছে এটা বেশ জটিল মনে হতেই পারে ।  আমি একটু অন্য আঙ্গেল থেকে বিষয়টি ভাবার কথা বলব । রিপোর্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে এর সব থেকে বেশী ব্যবহারিক প্রয়োগ আমরা দেখতে পাই । আমারা যারা মনে করি ইংরাজি লেখার দক্ষতা কিভাবে তৈরী করব তাদের কাছে আমার পর পর কয়েকটা পরামর্শ –
১ । প্রথমেই খুব জটিল ভাবে না ভেবে – একদম সরল ভাবে বেসিক কয়েকটা জিনিস শিখে নিন  যার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ।টেন্স ও ভয়েস । রাতারাতি যদি মনে করেন ইংরাজি গ্রামার এর সব অংশ  পুরো পুরি শিখে তারপর –রাইটিং স্কিলে প্রবেশ করব । সেটা ঠিক নয় বরং আমার সাজেশন হল ইংরাজি গ্রামারের বেসিক  দুইটি ধাপ – টেন্স ও ভয়েস শিখে নেওয়ার পর পরই আপনারা – ছোট ছোট প্যরাগ্রাফ বা ছোট ছোট রিপোর্টিং লিখতে সক্ষম হবেন । এর পর গ্রামারের অন্যান্য খুটি নাটি টিপস , এরর শিখে নিলেই আর ভাল ভাবে নিখুত অথচ নির্ভুল ও সিম্পল কম্পজিসন গুলি লিখতে পারবেন ।
২। তাই আমার পরামর্শ টেন্স ও ভয়েস এর একদম প্রিলিমিনারি কিছু বেসিক্স শিখে নিয়েই শুরু করে দিন ছোট ছোট কম্পোজিসন লিখতে , হোক না একটু আধটু ভুল । সাহস করে এগিয়ে যেতেই হবে । তবেই এক মাস এর মধ্যেই দেখবেন অনেকটা শিখে ফেলতে পারবেন ।
৩। যারা মনে করছেন এই বেসিক জিনিস গুলা মোটামুটি তাদের রপ্ত আছে তারা সরা সরি আমার ২য় সাজেশন মত একটু একটু করে লিখতে শুরু করেন
৪। ইংরাজি দুর্বলতার মূল কারন হল । ইন্রাজি সমন্ধে আমাদের ভীতি । এতাকে দূর করতেই হবে । আর এটা দূর করার একমাত্র সহজ পথ প্রতিদিন একটু একটু করে কিছু না কিছু কম্পোজিসন লিখুন । হোক না একটু আধটু ভূল – সাহস করে এগিয়ে যান ।  একটা ছোট্ট উদাহরন দিয়ে ব্যাপার টিকে পরিষ্কার কজরে দিই – যদি আপনাকে দুম করে বলা হয় গত কালকে ঘটে  যাওয়া ভঙ্কর অগ্নিকান্ডের উপর ইংরাজিতে একটি ১৫০ ওয়ার্ডের নিউজ পেপার রিপোর্ট লিখুন । আমাদের অনেকেই হয়ত সমস্যায় পড়ব । আকাশ পাতাল  ভাবতে শুরু করব ! দু চার লাইন এগিয়ে গিয়েই হয়ত কলম থমকে যাবে । কিন্তু যদি বলা হয় গত রাত্রের ঐ অগ্নি কান্ডের উপরে আপনি আপনার মাতৃ ভাষায় ১০ -১২ টি  বাক্য লিখুন ৯০ % নয় , ১০০ %  লোকই কিন্তু প্রায় নির্ভুল ভাবে লিখতে সক্ষম হবেন । তাই আমার সাজেশন  ইংরাজি থেকে ইংরাজি নয় , নিজের ভাষা থেকে অর্থাৎ বাংলা থেকে সহজে ইংরাজি লিখতে শিখুন ।
৬। আর সময় পেলেই নিজের ছোট ছোট ভাই বোনেদের বই  থেকে বাচ্চাদের জন্য যে ছোট ছোট গল্প থাকে সেগুলিকে নিয়ে বাংলা থেকে  ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করা অভ্যেস করুন । লজ্জা পেলে চলবে না । আমার মতে ইংরাজি লেখার মহৌষধ হল  ছোট ছোট করে ৫-৬ লাইনের গল্পগুলি ট্রান্সলেশন করা । এর থেকে আর ভালো পথ আর কিছু নাই ।
৫। তাই আমার সাজেশন হল – ক্লজ, জিরান্ড, কমপ্লেক্স, কম্পাউণ্ড পরে হবে , আগে জাস্ট টেনস ও ভয়েস শিখে নিলেই –যদি মনে করেন একদম সরল ইংরাজি লিখব , গ্যারান্টি দিয়ে বলছি – আপনি ৮০ শতাংশ সফল ভাবে ই লিখতে সক্ষম হবেন । সেটাই বা কম কিসের ? আর বাকি থাকে অলঙ্করন , ভোকাবুলারি রিপ্লেস করে কিছু সুন্দর সুন্দর শব্দ ঢুকিয়ে আপনার লেখা বা কম্পোজিসন কে আরো আকর্ষনীয় করে তোলার কাজ । সেই বাকি ২০ % কাজ না হয় পরেই শেখা যাবে । আগে তো সাহস করে আমার সাথে চলুন শুরু করি । আমি কথা দিচ্ছি  এই ভাবে অভ্যাস করলেই এক মাসের মধেই আপনি ছোট ছোট  ইংরাজিতে কম্পজিসন নিখুত ও নির্ভূল ভাবে লিখতে সফল হবেন । আসুন শুরু করা যাক । আজকে আমরা শিখব – ভয়েস বা বাচ্য । অবশ্য এটা শেখার আগে টেন্স টা ভালো ভাবে একবার ঝালিয়ে নেবেন । আমি টেন্স দিয়েই শুরু করতে পারতাম । কিন্তু তাতে আরো বেশী সময় লেগে যাবে , তাই ধরে নিচ্ছি আপনারা টেন্স অংশ টা  মোটামুটি জানেন – তার পরের অংশ শুরু করার পালা । তবে একেবারেই যারা ভূলে গিয়েছেন আমি ভয়েস শেখানোর পাশে পাশে একটু একটু করে টেন্স টাও ব্রাশ আপ করে দেব ।
৬। আজকের এই লেসনের শেষে আমি যেরুপ কথা দিয়ে ছিলাম- কারো সাহায্য ছাড়াই আপনারা ই দেখবেন অন্তত ১৫০-২০০ ওয়ার্ডের ছোট ছোট কম্পোজিসন দেখবেন নিজেরাই লিখতে পারছেন ।
ওক্কে!  আর কথা নয় সরা সরি কাজে প্রবেশ করছি –

ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (11)
ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (12)
ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (13)
ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (14)
ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (15)
ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (16)
ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (1)
ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (2)

ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (3)

ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (4)
ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (5)

ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (6)
ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (7)
ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার (8)

Voice Change
কাজ চালনোর মত শেখা আমাদের কমপ্লিট । আমি বলব এবার নিজে নিজে ছোট ছোট বাক্যকে ট্রান্সলেট করে করে প্রতিদিন কিছু কিছু কম্পোজিসন লেখা অভ্যেস করুন । কথা দিচ্ছি । ১ মসের মধ্যে অভাবনীয় উন্নতি আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন । আজকের মতই এটুকই ……।। 

Comments

Popular posts from this blog

নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর কিভাবে কাজ করে?

২০১৩তে জাপানে চার চারটি নিউক্লিয়ার রিয়াক্টরের বিস্ফোরণ ঘটে,যা পুরো বিশ্ববাসীকে হুমকির সামনে ফেলে দিয়েছিল। সবারই নজর তখন জাপানের পারমাণবিক বিস্ফোরণের দিকে ছিল। তো আসুন কিভাবে নিউক্লিয়ার রিয়াক্টর কাজ করে দেখার চেষ্টা করি বুজার চেষ্টা করি সহজ ভাবে। নিউক্লিয়ার প্লান্ট ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি করে কিভাবে ? নিউক্লিয়ার প্লান্টে ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি করতে কয়লা, তেল অথবা গ্যাসের ন্যায় কিছুর প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র উত্তপ্ত পানির বাষ্পের দরকার হয়। এই বাষ্প টারবাইনকে ঘোরায় এবং ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি হয়। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট :  দুই প্রকার নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট রয়েছেঃ ১। Boiling water reactors ২। Pressurized water reactors ১। Boiling water reactors:  এখানে রিয়াক্টরের চারপাশে পানি প্রবাহ করে জ্বালানি রড ঠান্ডা ও বাষ্প তৈরি করা হয়। বাষ্প রিয়াক্টর ভেসেলের মাধমে সরাসরি টারবাইনে এবং টারবাইন থেকে জেনারেটরের সাহায্যে ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি করা হয়। ২। Pressurized water reactors: এখানে রিয়াক্টরকে ঠান্ডা রাখার জন্য প্রবাহিত পানি যেনো বাষ্পে পরিণত হতে না পারে তাই চাপ সৃষ্টি করা হয়। পানির তাপ অন্

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এসে কেন আমাকে পদার্থ, রসায়ন পড়তে হবে?

ভূমিকা বিশ্বের যে কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান তারা ইঞ্জিনিয়ারিং এর সিলেবাসে পদার্থ, রসায়ন, গণিত সহ কমার্সের বিভিন্ন বিষয় দেখে প্রথমেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন । সবার মনে একটাই প্রশ্ন । আমি কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট, আমি প্রোগ্রামিং শিখব, এলগরিদম শিখব, কিন্তু পদার্থ-রসায়নের দরকার কি? আর যাদের জীবনের উদ্দেশ্যই ইঞ্জিনিয়ারিং তারাও ভাববে, “যেই পদার্থ-রসায়ন আমার বাল্যকাল নষ্ট করে দিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং শিখতে এসেও কি তার হাত থেকে রক্ষা নেই?” হলফ করে বলতে পারি, প্রায় নব্বই ভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং শিখতে গিয়ে এসব প্রযুক্তি বহির্ভূত বইকে অপছন্দ করে । এছাড়াও হাইস্কুলে পড়ার সময় গণিত করার সময় প্রায়ই সহপাঠীদের বলতে শুনেছি, এসব বীজগণিত, জ্যামিতি দিয়ে আসলেই কি বাস্তব জীবনে কোনো কাজ হবে? আমরা এগুলো শিখছি কেন? এবিষয়েও কিছু উদাহরণ দেয়ার চেষ্টা করব আজকের লেখায় । আমার আজকের আলোচনার বিষয়, ইঞ্জিনিয়ারিং শিখতে গিয়ে কি এসব গণিত-পদার্থ-রসায়নের আসলেই দরকার আছে? এই প্রশ্নের উত্তর ছোট্ট একটা উদাহরণ দিয়ে দিব । তার সাথে আজকের পোস্টে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে তার এক

ফটোশপ শিখুন [পর্ব ৪]: Blending mode সম্পর্কে জানুন

ফটোশপ দিয়ে আমরা অনেকেই নিয়মিত কাজ করছি। তাই Blending mode ও কম বেশি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু Blending mode এর ব্যাখ্যা জানা আছি কি? নাকি পরিবর্তন করে যেটা ভাল লাগে সেটা দিয়ে দেন! যাইহোক আজকে আমি যতটুকু জানি তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। Blend mode কিভাবে কাজ করে? অথবা এর মূল কাজটা কি? Blending mode গুলোর মূল কাজ হলো মিশিয়ে দেয়া বা Blend করা। আর এই মিশ্রনের প্রক্রিয়াটা একেক mode এ একেক রকম। যেমনঃ আপনি যখন বৃষ্টিতে ভিজেন তখন আপনার গেঞ্জি গায়ের সাথে লেপ্টে গিয়ে শরীর দেখা যায়, এটাও এক প্রকার Blend. আর একটি উদাহরণ দেয়া যাক, বিয়ের সময় পাত্রী ছবি তুলা হয় ওড়নার ভেতরে মুখ থাকে মানে ওড়নার ভেতর দিয়ে মুখ দেখা যায়। এটাও এক প্রকার blend. Photoshop cs6 এ blend mode আছি ২৭ টি। এই ২৭টি মুড বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। একেকটি ভাগের কাজ একেক রকম। ভাগগুলো ইমেজ আকারে নিচে দেয়া হলোঃ Groups of blend mode Blend mode এর keyboard shortcut নিচে দেয়া হলোঃ Short key of blending mode এই short key   ব্যবহার করার জন্য আপনার move টুল select থাকতে হবে।